ঢাকা , শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫ , ১৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে মারধরের শিকার কিশোরের মৃত্যু রেললাইনে হাঁটু পানি, ২ ঘণ্টা বিলম্বে ছেড়েছে বনলতা এক্সপ্রেস রাজশাহী মহানগর বিএনপির আংশিক কমিটি ঘোষণা চরের ত্রাস কাকনবাহীনি’র বিচার দাবিতে বাঘায় মানববন্ধন জমির ভাগ নিতে বাংলাদেশি এনআইডি বানালেন ভারতীয় নাগরিক সাগর-রুনি হত্যার বিচার ও নবম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়নের দাবি সলংগায় কষ্টি পাথরের শিবলিঙ্গসহ তিন পাচারকারী গ্রেফতার আরএমপিতে নির্বাচনী দায়িত্বে পুলিশের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন ফ্যানের সাথে ঝুলছিল গৃহবধূর মরদেহ, দরজা ভেঙে উদ্বার করলো পুলিশ আমন ক্ষেতে কারেন্ট পোকা দুশ্চিন্তায় ফুলবাড়ীর কৃষক রাজশাহীতে ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে আহলেহাদীছ আন্দোলনের মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ তানোরে ফের নবিল গ্রুপের দুষণ সন্ত্রাস তানোরে জামায়াতের নির্বাচনী কর্মী ও সুধী সমাবেশ সারদা'র ডিআইজি এহসানউল্লাহর রহস্যজনক নিখোঁজ, তদন্ত শুরু ইতিহাসের সুবিজ্ঞ ও দূরদর্শীদের জীবনের শিক্ষা আমরা বই পড়েই জেনেছি: বিভাগীয় কমিশনার আবু ধাবি টি১০ লিগে কোয়েটা ক্যাভালরির অধিনায়ক নিযুক্ত হলেন মোহাম্মদ আমির সমবায়ভিত্তিক অর্থনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে আত্মনির্ভরশীল বাংলাদেশ গড়া সম্ভব: প্রধান উপদেষ্টা সিরাজগঞ্জে ট্রাকের ধাক্কায় ভ্যানচালকের মৃত্যু নেত্রকোণায় অটোরিকশা-ট্রাকের সংঘর্ষে নিহত ২ পুণ্ড্র ইউনিভার্সিটিতে ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধে সচেতনতার জন্য সেমিনার অনুষ্ঠিত

দ্বীনের পথে হজরত আবু হোরায়রার (রা.) ত্যাগ

  • আপলোড সময় : ০৮-০৮-২০২৫ ০২:৪৯:১৩ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৮-০৮-২০২৫ ০২:৪৯:১৩ অপরাহ্ন
দ্বীনের পথে হজরত আবু হোরায়রার (রা.) ত্যাগ ছবি: সংগৃহীত
আবু হোরায়রা (রা.) নবিজি হজরত মোহাম্মাদের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) একজন সাহাবি। তার প্রকৃত নাম আবদুর রহমান ইবনে সাখর। বিড়াল পোষার অভ্যাসের কারণে তিনি ‘আবু হোরায়রা’ বা বিড়ালের বাবা নামে প্রসিদ্ধ হন। নবিজির (রা.) হাদিস বর্ণনার জন্য তিনি প্রসিদ্ধ। তিনি নবিজির (সা.) বহুসংখ্যাক হাদিস বর্ণনা করেছেন। বিভিন্ন গ্রন্থে সংকলিত হাদিসমূহের মধ্যে তার বর্ণিত হাদিসের সংখ্যা পাঁচ হাজারের বেশি। প্রায় আটশত তাবেঈ তার কাছ থেকে হাদিস শুনেছেন এবং বর্ণনা করেছেন।

আবু হোরায়রা (রা.) ষষ্ঠ বা সপ্তম হিজরিতে ইসলাম গ্রহণ করেন। এরপর নবিজির (সা.) ওফাত পর্যন্ত প্রায় তিন/চার বছর সর্বক্ষণ তিনি নবিজির (সা.) সাথে থাকতেন। এ পুরো সময় জ্ঞান অর্জনই ছিল তার ধ্যান-জ্ঞান। তিনি অন্য বেশিরভাগ সাহাবির মতো উপার্জনের জন্য কৃষি, ব্যবসা বা অন্যান্য কাজে জড়িত হননি। যে কারণে অনেক সময় তাকে অনাহারে-অর্ধাহারে কষ্ট করতে হতো।

তাবেঈ মুজাহিদ (রহ.) থেকে বর্ণিত আবু হোরায়রা (রা.) বলেন, আল্লাহর কসম! যিনি ছাড়া অর কোনো মাবুদ নেই, আমি অনেক সময় ক্ষুধার জ্বালায় আমার পেট মাটিতে রেখে উপুড় হয়ে পড়ে থাকতাম। অনেক সময় ক্ষুধার জালায় আমার পেটে পাথর বেঁধে রাখতাম। একদিনের ঘটনা। আমি ক্ষুধার যন্ত্রণায় বাধ্য হয়ে নবিজির (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সাহাবিগণের যাতায়াতের পথে বসে থাকলাম।

কিছুক্ষণ পর আবু বকর (রা.) ওই পথ দিয়ে যাচ্ছিলেন। আমি তাকে কোরআনের একটা আয়াত সম্পর্কে প্রশ্ন করলাম। আমি তাকে প্রশ্ন করলাম এই উদ্দেশ্যে যে, তিনি হয়তো বুঝতে পারবেন আমি ক্ষুধার্ত এবং আমার খাওয়ার ব্যবস্থা করবেন। কিন্তু তিনি প্রশ্নের উত্তর দিয়ে চলে গেলেন, আমার অবস্থা বুঝতে পারলেন না। কিছুক্ষণ পর ওমর (রা.) যাচ্ছিলেন। আমি তাকেও কোরআনের একটি আয়াতের ব্যাপারে প্রশ্ন করলাম। কিন্তু তিনিও উত্তর দিয়ে চলে গেলেন, আমার অবস্থা বুঝতে পারলেন না।

কিছুক্ষণ পর ওই পথ দিয়ে নবিজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) যাচ্ছিলেন। তিনি আমাকে দেখেই মুচকি হাসলেন। আমার মধ্যে কী অস্থিরতা চলছে আমার চেহারা দেখেই তিনি তা বুঝতে পারলেন। বললেন, তুমি আমার সঙ্গে চল। আমি তার অনুসরণ করলাম।

নবিজি (সা.) ঘরে ঢোকার অনুমতি চাইলেন এবং আমাকে ঢোকার অনুমতি দিলেন। ঘরে একটি গ্লাসে কিছু পরিমান দুধ ছিল। তিনি বললেন, এ দুধ কোথা থেকে এসেছে? ঘরের অন্যরা বললেন, এটা আপনার জন্য অমুক পুরুষ অথবা অমুক নারী হাদিয়া হিসেবে পাঠিয়েছে। নবিজি (সা.) আমাকে বললেন, তুমি সুফফাবাসীদের ডেকে নিয়ে এসো।

সুফফাবাসীরা ইসলামের মেহমান ছিলেন। তাদের কোনো পরিবার ছিল না, তাদের কোনো সম্পদ ছিল না এবং তাদের কারো উপর নির্ভরশীল হওয়ারও সুযোগ ছিল না। যখন কোন সদকা আসত তখন নবিজি (সা.) তা তাদের কাছে পাঠিয়ে দিতেন। তিনি সদকা নিজের জন্য গ্রহন করতেন না। আর যখন কোনো হাদিয়া আসত, তখন তার কিছু অংশ নবিজি (সা.) তাদের দিয়ে দিতেন এবং তা থেকে নিজের জন্যও কিছু রাখতেন। নবিজির (সা.) নির্দেশ শুনে আমার মনে কিছুটা হতাশা এলো। মনে মনে ভাবলাম যে এ সামান্য দুধ সুফফার এতজন মানুষ কীভাবে খাবে? কারোই তো ক্ষুধা মিটবে না। এ সামান্য দুধ আমার জন্যই যথেষ্ট হতো। এটা পান করলে শরীরে কিছুটা শক্তি পেতাম।

কিন্তু আল্লাহ ও তার রাসুলের নির্দেশ না মেনে কোন উপায় নেই। আমি সুফফাবাসীদের ডেকে আনলাম। তারা এসে ভেতরে প্রবেশ করার অনুমতি চাইলে তিনি তাদেরকে অনুমতি দিলেন। তারা ঘরে ঢুকে বসলে নবিজি (সা.) আমাকেই নির্দেশ দিলেন আমি যেন সবাইকে দুধ পান করাই। আমার আশা রইলো না যে, এ দুধ থেকে আমি কিছু পাব। আমি দুধের গ্লাস নিয়ে একে একে সবাইকে পান করাতে লাগলাম। প্রত্যেকেই দুধের গ্লাস নিয়ে পরিতৃপ্ত হয়ে দুধ পান করছিলেন। আমি আশ্চর্য হয়ে আমি লক্ষ করছিলাম দুধ শেষ হয়ে যাচ্ছে না, এমন কি কমছেও না। সবাইকে দুধ পান করিয়ে আমি নবিজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) পর্যন্ত পৌছলাম।

নবিজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) দুধের গ্লাসটি হাতে নিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে বললেন, এখন তো আমি আর তুমি আছি। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল! আপনি ঠিক বলছেন। তিনি বললেন, এবার তুমি পান কর। তখন আমি বসে কিছু পান করলাম। তিনি বললেন, আরও পান কর। আমি আরও পান করলাম। তিনি বারবার আমাকে পান করার নির্দেশ দিতে লাগলেন। এক পর্যায়ে আমি বলতে বাধ্য হলাম যে, আর পারছি না, যে সত্তা আপনাকে সত্য দীনসহ পাঠিয়েছেন, তার কসম! আমার পেটে আর জায়গা নেই। নবিজি (সা.) বললেন, তাহলে আমাকে দাও। আমি দুধের গ্লাসটি তাকে দিলাম। তিনি আলহামদুলিল্লাহ ও বিসমিল্লাহ বলে অবশিষ্ট দুধ পান করলেন।

সূত্র: সহিহ বুখারি: ৬০০৮

নিউজটি আপডেট করেছেন : Rajshahir Somoy

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ
প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে মারধরের শিকার কিশোরের মৃত্যু

প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে মারধরের শিকার কিশোরের মৃত্যু